ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্পদ বেশি দেখিয়েছে খুলনা প্রিন্টিং

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেনাদারের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রভিশনিং করেনি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পণ্য কাস্টমস দ্ধারা জব্দ ও ট্রানজিটে থাকায় মূল্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়টি বিচেনায় নেয়নি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এতে করে ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে সম্পদ বেশি দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির ব্যয় কমিয়ে লোকসানের পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, খুলনা প্রিন্টিং কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের নোট ৮-এ ৩০ জুন ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার পণ্য দেখিয়েছে। যা এখনো হাতে এসে পৌছায়নি কিন্তু ট্রানজিটে রয়েছে। তবে দীর্ঘসময়ের ব্যবধানের কারনে ওই পণ্য প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। যাতে করে ওই মূল্যের পণ্য লোকসান হিসেবে (রাইট অফ) দেখাতে হবে। এরমধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কাস্টমস ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করে রেখেছিল। ট্রানজিটে এই পণ্যগুলো এখন নিলামের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কি পরিমাণ দর পাওয়া যাবে, তা অনিশ্চিত।

আরও পড়ুন….
লভ্যাংশ কি, এ বছর তা দেখিয়ে দিয়েছে খুলনা প্রিন্টিং

২৫ টাকা ইস্যু মূল্যের বেঙ্গল উইন্ডসোরের ‘নো’ ডিভিডেন্ড
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স নিয়ে বিএসইসির কঠোর অবস্থান, কি পেল বিনিয়োগকারীরা!

উচ্চ মূল্যে শেয়ার ইস্যুর পর থেকেই তসরিফার মুনাফা নিম্নমুখী, এবার বড় লোকসান
গোল্ডেন হার্ভেস্টের রাইটে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের বছর পার না হতেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড

আর্থিক হিসাবের নোট ৯-এ বিভিন্ন দেনাদারের কাছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ভালো অবস্থানে এবং ১২ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছে। এরমধ্যে কিছু অর্থ ৬ মাসের মধ্যে আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু কোন প্রভিশনিং গঠন করা হয়নি। কিন্তু দীর্ঘসময়ের কারনে কিছু টাকা আদায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৩০ জুন ৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। তবে করোনার কারনে নিরীক্ষক তার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে আল-আরাফাহ ব্যাংক থেকে নেওয়া ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঋণ ক্লাসিফাইড হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। যেগুলো ১৩-১৪ শতাংশ সুদ হারে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনা প্রিন্টিং কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৩৬ টাকা করে মোট ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লোকসান দেখিয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সম্পদ বেশি দেখিয়েছে খুলনা প্রিন্টিং

পোস্ট হয়েছে : ১২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেনাদারের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রভিশনিং করেনি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পণ্য কাস্টমস দ্ধারা জব্দ ও ট্রানজিটে থাকায় মূল্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়টি বিচেনায় নেয়নি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এতে করে ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে সম্পদ বেশি দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির ব্যয় কমিয়ে লোকসানের পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, খুলনা প্রিন্টিং কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের নোট ৮-এ ৩০ জুন ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার পণ্য দেখিয়েছে। যা এখনো হাতে এসে পৌছায়নি কিন্তু ট্রানজিটে রয়েছে। তবে দীর্ঘসময়ের ব্যবধানের কারনে ওই পণ্য প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। যাতে করে ওই মূল্যের পণ্য লোকসান হিসেবে (রাইট অফ) দেখাতে হবে। এরমধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কাস্টমস ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করে রেখেছিল। ট্রানজিটে এই পণ্যগুলো এখন নিলামের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কি পরিমাণ দর পাওয়া যাবে, তা অনিশ্চিত।

আরও পড়ুন….
লভ্যাংশ কি, এ বছর তা দেখিয়ে দিয়েছে খুলনা প্রিন্টিং

২৫ টাকা ইস্যু মূল্যের বেঙ্গল উইন্ডসোরের ‘নো’ ডিভিডেন্ড
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স নিয়ে বিএসইসির কঠোর অবস্থান, কি পেল বিনিয়োগকারীরা!

উচ্চ মূল্যে শেয়ার ইস্যুর পর থেকেই তসরিফার মুনাফা নিম্নমুখী, এবার বড় লোকসান
গোল্ডেন হার্ভেস্টের রাইটে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের বছর পার না হতেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড

আর্থিক হিসাবের নোট ৯-এ বিভিন্ন দেনাদারের কাছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ভালো অবস্থানে এবং ১২ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছে। এরমধ্যে কিছু অর্থ ৬ মাসের মধ্যে আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু কোন প্রভিশনিং গঠন করা হয়নি। কিন্তু দীর্ঘসময়ের কারনে কিছু টাকা আদায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৩০ জুন ৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। তবে করোনার কারনে নিরীক্ষক তার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে আল-আরাফাহ ব্যাংক থেকে নেওয়া ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঋণ ক্লাসিফাইড হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। যেগুলো ১৩-১৪ শতাংশ সুদ হারে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনা প্রিন্টিং কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৩৬ টাকা করে মোট ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লোকসান দেখিয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: